গ্রাম বাংলার এমন বেশকিছু প্রচলিত মেলা উৎসব আছে যা বহুযুগ পরেও অনেকেরই অজানা রয়ে গেছে। হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরের সিংটিতে বহু বছর ধরে চলে আসছে সেই রকমই একটি গ্রামীণ মেলা ভাই খাঁ পীরের মেলা। যা কাঁকড়ার মেলা নামেও পরিচিত। ভাই খাঁ পীরের মাজারকে ঘিরে প্রতি বছর পয়লা মাঘ এই মেলা হয়। জমায়েত হয় বহু মানুষ।
স্থানীয়দের মতে প্রায় আটশো বছর আগে সৌদি আরব থেকে ভাই খাঁ পীর এখানে এসেছিলেন তাঁর ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। তিনি এই গ্রামেই থাকতেন। একসময় কলেরায় গ্রামের সব মানুষ মারা যেতে থাকে তখন ভাই খাঁ পীর নিজের অলৌকিক শক্তি দিয়ে সকলকে বাঁচায়। সেইসময় থেকেই ভাই খাঁ পীর স্থানীয় মানুষের ভগবান। ভাই খাঁ পীর এই মেলার প্রচলন করেছিলেন। কিন্তু ভাই খাঁ পীরের মৃত্যুর পরেও তাঁর সমাধিক্ষেত্রকে ঘিরেই ভাই খাঁ পীরের নামে এই মেলা এখনও চলে আসছে। বছরে এই একদিনই এই মেলা হয়। বহু মানুষ ভাই খাঁর মাজার দর্শন করতে আসে এই দিনে। যদিও এই মেলা স্থানীয়দের কাছেই বেশি পরিচিত, আজও অনেকেই জানেন না বা শোনেন নি এই মেলার নাম।
গ্রামীণ এই মেলার অন্যতম অভিনব আকর্ষণ হচ্ছে সুন্দরবনের কাঁকড়া। বলা যায় কাঁকড়ার হাট বসে এই মেলায়। ছোটো বড় মাঝারি নানা মাপের ৩০০ টাকা কেজি থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা কেজির বিভিন্ন দামের জ্যান্ত কাঁকড়া বিক্রি হয় এই মেলায়। তাই কিনতেও ভিড় জমান বহু মানুষ। প্রতি বছরই এই মেলায় সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া নিয়ে আসে ব্যবসায়ীরা। তাই কাঁকড়া কিনতেও ভিড় জমান বহু মানুষ।
Thank you for sharing this insightful article! I found the information really useful and thought-provoking. Your writing style is engaging, and it made the topic much easier to understand. Looking forward to reading more of your posts!