‘আমি বকুলবাগানের এই পুজো মণ্ডপকে ভিনসেন্ট ভ্যানগগের সেই একটা ফ্রেম বানিয়েছি যেখানে একদিকে ইঁট, কাঠ, পাথরের শহুরে জীবন আর তারই মধ্যে মেঘমালা, আকশে সূর্যের রঙের ছটা আবার চাঁদের আলোর দ্যুতি এক সাথে মুক্তি পাচ্ছে আবার আরেকদিকে সমুদ্র মন্থন করে তৈরী হচ্ছে বিশালাক্ষী। আমি সেই যোগসূত্র তৈরী করেছি এখানে। এরপর আমি দেবী দুর্গাকে শাকম্বরী রূপে দেখছি। এখানে আমি গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কথা ভাবছি। কারণ এই ইঁট, কাঠ, কংক্রিটের জঙ্গল গ্রাস করছে আমাদের আস্তে আস্তে, সেটাই দেখিয়েছি। এই ইঁট, কাঠ, কংক্রিটের জঙ্গলে জল শুকিয়ে যখন খড়ার সৃষ্টি হয় তখন দেবী দুর্গা যখন দেখলেন শস্য শ্যামলা ধরণী শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে তখন তিনি শাকম্বরী রূপে কাঁদলেন তাঁর চোখের জলের ধাবিত স্রোত ধরণীতে বয়ে পৃথিবী আবার সবুজ শস্যশ্যামলা হয়ে উঠল। ঈষাণ কোণ থেকে দেবীর যে শক্তি আসে তখন দেবীর নাম হয় শাকম্বরী। আমি এখানে সেই দেবী শাকম্বরী, দেবী যোগমায়া, এলোকেশী রূপকে মিলিয়ে তাঁর রূপ তৈরী করেছি।’