পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরের অনতিদূরেই মালতি গ্রাম। গ্রামের মাথায় মালতি খাদান। এখানকার আদিবাসী ও গ্রামের মানুষ বাদনা ও তাদের বিভিন্ন উৎসব, পরবের সময় মাটির ঘরবাড়ি রাঙিয়ে তোলেন বিভিন্ন রঙের নকশায়ে। এইসব রঙ তারা নিয়ে আসেন মালতি খাদান থেকে। প্রবীণ শিল্পী ও ভাস্কর চিত্ত দে আজ থেকে কুড়ি বছর আগে মালতি খাদান আবিষ্কার করেন; এই পাহাড়ের নাম দেন রঙ পাহাড়। বর্তমানে স্থানীয় রঙ পাহাড় নামে পরিচিত পুরুলিয়াতে । এটি একটি অত্যন্ত দ্রষ্টব্য বিষয় যেখানে গেলে দেখা যাবে পাহাড়ের গায়ে গায়ে বিভিন্ন ধরনের রঙ হলদে , সবুজ , লাল কালো ওনীল রঙের বাহার। প্রায় ২০০ বছর ধরে স্থানীয় লোকেরা এখান থেকে রঙ ব্যবহার করছে । মূলত আদিবাসীরা তাদের বাঁদনা পরবে এখান থেকেই রঙ নিয়ে তাদের বাড়ি এবং বাড়ির দেয়ালে রং করে। শিল্পী মনে করেন এই রঙ খাদানের বয়স প্রায় এক থেকে দেড় কোটি বছর। অজান্তা ও ইলোরা তৈরির সময় এই ধরনের খাদান এর অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেন তিনি। চাক্ষুষ না দেখলে বোঝা যাবে না অসাধারণ রঙের বাহার এক নির্জন জঙ্গলে ভিতরে। অযোধ্যা পাহাড় যাওয়ার পথেই এই রঙের খাদান পড়বে।