উল্টোরথে প্রথমদেখার ক্যামেরা গিয়ে পৌঁছালো মহিষাদলে । কলকাতা থেকে মহিষাদল প্রায় ১১০ কিলোমিটার। বাসে এলে ধর্মতলার এসপ্ল্যানেড থেকে দীঘা হলদিয়াগামী বাসে নন্দকুমার সেখান থেকে টোটোতে ১০ মিনিট মহিষাদল। উল্টোরথেও জগন্নাথের মাসীর বাড়ি লোকেলোকারন্য।প্রায় পন্চাশ হাজারেরও বেশী মানুষ রথের রশি ধরে প্রস্তুত। মহিলাদের জন্য আলাদা রশি, পুরুষদের আলাদা। স্হানীয় মহারাজা হরপ্রসাদ গর্গ পালকি করে শোভাযাত্রা করে এলেন রথের রশিতে টান দিতে। তারপর বন্দুক চালিয়ে জয় জগন্নাথ ধ্বনিতে শুরু হলো রথ টানা। দূরদূরান্ত থেকে আসা এমনকি স্হানীয় গ্রামের মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। নতুন জামা শাড়ি পড়ে বাচ্চা কোলে দুপুর থেকেই ভিড় জমিয়েছে মানুষ। বাংলার এই রথ যাত্রার ইতিহাস প্রায় কয়েকশো বছর পুরানো। ১৭৭৬ সালে মহষাদলের রানী জানকীদেবী শুরু করেন এই রথের শোভাযাত্রা। স্হানীয়দের মতে ২৪৬ বছরের পুরানো পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উচ্চতম রথ এই মহিষাদলের রথ, প্রায় ৭০ ফুট উঁচু।