বাংলার আম কখনও চেখে দেখেননি এমন মানুষ বোধয় ভূভারতে নেই। আম চাষে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান চতুর্থ, এখানেই সবথেকে বেশী ধরনের আম চাষ হয়। পশ্চিবঙ্গের প্রায় ৬৮,০০০ হাজার একরেরও বেশী জমি শুধুমাত্র আম চাষে ব্যাবহার হয়। পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ আম চাষে জনপ্রিয়তা লাভ করলেও বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে নদীয়া জেলার মাঝদিয়া বিগত কয়েক বছর ধরে আম চাষে বেশ লাভের মুখ দেখেছে। মাঝদিয়ার আম সারা ভারতবর্ষে রপ্তানিও করেছেন এখানকার চাষিরা। নদী তীরবর্তী অঞ্চল এবং এখানকার মাটিও আম চাষের পক্ষে বেশ অনুকুল হওয়ায় বিগত বেশ কয়েক বছরে আম চাষ মাঝদিয়ার মানুষের মূল জীবিকা হয়ে উঠেছে। এখানকার গ্রামবাসীদের প্রত্যেকেরই প্রায় কয়েক বিঘে আম বাগান রয়েছে যা এখানে এলেই চোখে পড়বে। আমের মধ্যে মূলত হিমসাগর, ল্যাংরাই এখানে বেশী উৎপন্ন হয়। মাঝদিয়ার দোআঁশলা মাটি আম চাষের পক্ষে উপযোগী হওয়ায় আমের ফলনে প্রতিবছরই প্রায় ভালোমতো লাভের মুখ দেখেন এখানকার চাষীরা; কিন্তু “বিগত দুবছরে করোনা আর লকডাউনের জেরে বাজার মন্দা থাকায় গাছের আম গাছেই পেকেছে, আম গাছেই পাকলে পরে আর সেই গাছে আম হয় না। যে গাছে বছরে একবার প্রচুর আম হয় পরের বছরে আর সেই গাছে আম হয় না। ফলে এবছর আমের ফলন অত্যন্ত কম গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। আনুমানিক পাঁচশো গাছের মধ্যে আম হয়েছে মাত্র পঞ্চাশটি গাছে”, জানালেন আমচাষি কৌশিক হালদার। আমের মরসুমের সময় বিভিন্ন আড়তদাররা রাস্তার ধারে কয়েকমাস অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে থাকেন; চাষি সেখানে আম এনে বিক্রি করেন আড়তদারদের কাছে। সেখানে আমের অকশান চলে। এরপর আম চলে যায় মাঝদিয়া সহ সারা পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন বাজারে।
আরেকটু ডিটেলস পেলে ভাল লাগত স্বপন কুমার ভৌমিক মাজদিয়া
Informative.