উত্তর কলকাতার কমলা প্যালেসে গত শনি ও রবিবার এক প্রদর্শনীর সাক্ষী হয়ে রইল কলকাতা।
সিটি অফ জয়, তিলোত্তমা, কল্লোলিনী কলকাতা কত তার নাম। আসলে এইসব নামের সাথেই জড়িয়ে আছে তার এক নিজস্বতা, স্বতন্ত্র এক রূপ, রস, গন্ধ, স্বতন্ত্র শব্দ। আর কলকাতার সেই শব্দ আর গন্ধ নিয়েই এই প্রথম শহরের বুকে অভিনব এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন কলকাতার কয়েকজন শিক্ষক এবং গবেষক, যার বিষয়বস্তু শব্দে গন্ধের মোড়কে কল্লোলিনী কলকাতা।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলেবেলা বইতে লিখে গেছেন “…..বাড়ির ভিতরে চল্ছে তাঁতিনি নতুন-ফ্যাশান-পেড়ে শাড়ির সওদা করতে”, “….নাপিতিনী আসতো ঝামা দিয়ে পা ঘষে আলতা পরাত। তারাই লাগত খবর চালাচালির কাজে।”
আপন কথায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন “এদিকে আবার নানারকম শব্দও আসে কানে, দুপুর হতেই গলির মোড়ে শব্দ হল ঠংঠং বাসন চাই, বাসন?’ শব্দ চলে গেল দূরে। তারপরে এল চুরি চাই, খেলনা চাই? প্রায়ই মায়েদের মহলে ডাক পড়ে, ঝুড়ি ঝুড়ি কাঁচের চুড়ি সাজিয়ে বসে এসে।”
বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকরা তাঁদের রচনা প্রবন্ধে যে সকল শব্দের বর্ণনা দিয়েছেন তার বেশীরভাগই আজ আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে তার বদলে যুক্ত হয়েছে বেশকিছু নতুন শব্দ। এমনকি গন্ধও।