সম্প্রতি ক্যালোটাইপ এবং সল্ট প্রিন্টের ওপর এই প্রথম একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হল শান্তিনিকেতনের স্টুডিও গপ্পোতে। ফ্রেস্নো, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কলা বিভাগের প্রফেসর নীল চৌধুরির কাঠের বক্স ক্যামেরায় তোলা ছবির বিষয়বস্তু ছিল শান্তিনিকেতনের গ্রাম এবং মাটির বাড়ি যা ক্যালোটাইপ পদ্ধতিতে পেপার নেগেটিভে তোলা এবং সল্ট প্রিন্ট পদ্ধতিতে হাতে প্রিন্ট করা হয়েছে আজকের দ্রুতগতির এই ডিজিটাল যুগে যা দুষ্প্রাপ্য বলাই যায়। নীল আমেরিকার বাসিন্দা হলেও জন্মসুত্রে ভারতীয় এবং বাঙালি। সেই নাড়ির টানেই ভারতে আসা। আঠারশ চল্লিশ নাগাদ ফক্স ট্যালবট এই ক্যালোটাইপ পদ্ধতির আবিস্কার করেন। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা প্রথম নেগেটিভ ও পজেটিভের ধারণা নিয়ে আসে ফটোগ্রাফিতে। তবে খুব বেশীদিন এই পদ্ধতিটি ব্যাবহার হয়নি। কিন্তু ভারতবর্ষে এই পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন ছবি তোলা হয়েছে; ভারতবর্ষে ইংরেজরা এসে দীর্ঘদিন এই পদ্ধতিতে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে ভারতের অ্যানথ্রোপলজিক্যাল, আর্কিওলজিকাল ডকুমেন্টেশানের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন স্থাপত্য আবিস্কারের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিতে ছবি তোলা হয়েছে। তবে এই মুহুর্তে সারা পৃথিবীতে খুব কম মানুষই এই পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানালেন স্টুডিও গপ্পোর কর্নধার অর্পন মুখোপাধ্যায়। নীলও আজকের দিনে এই পদ্ধতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন প্রথম দেখা’র সাথে।
আজকের এই দ্রুততম ডিজিটাল যুগে এই ধরনের ধীর গতির অল্টারনেটিভ ফটোগ্রাফির প্রদর্শনী এক অভিনব উদ্যোগের সাক্ষর রাখে তা বলাই বাহুল্য।