৬৬ নম্বর হ্যারিসন রোড’ বলতেই বাঙালির যার কথা প্রথমেই মনে পড়ে তিনি হলেন ব্যোমকেশ বক্সী। এই মেস বাড়ির দোতলার ঘরেই থাকতেন ব্যোমকেশ বক্সী সত্যান্বেষী। সময়টা ১৯১৯ সাল, আজকের এম জি রোড তখন হ্যারিসন রোড। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসতে হয় আইনজীবির ছেলে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়কে; এসে ওঠেন কলেজ স্ট্রীটের এই প্রেসিডেন্সি মেস বাড়িতে। ভাড়া নেন দোতলার সিঁড়ির পাশের ঘরটি।যেখানে রচিত হয় ব্যোমকেশ বক্সী সত্যান্বেষী থেকে শুরু করে আরোও অনেক বিখ্যাত উপন্যাস গল্প। হ্যারিসন রোড এখন নাম বদলে এম জি রোড। সেই প্রেসিডেন্সি মেসবাড়িটি এখন ভগ্নপ্রায়।একতলায় শুধুই ভাতের হোটেল| প্রয়োজন রক্ষনাবেক্ষনের, জানালেন বাড়ির বর্তমান মালিক সন্দীপ দত্ত। হ্যারিসন রোড কিংবা বাঙালির মেসবাড়ি কালচার আজ হারিয়ে গেলেও লেখকের সৃষ্টিতে তারা আজও জীবন্ত। কিন্তু যেখানে যে বাড়িকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে এত উপন্যাস গল্প সেই বাড়িই কি আজ হারিয়ে যাবে কালের গভীরে?